একাত্তরের পরাজিত শক্তির একটি অংশ চব্বিশের আন্দোলনকে ব্যবহার করে একাত্তরের গৌরবকে মুছে ফেলতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির। শনিবার বরিশালের গৌরনদীতে ছাত্র সমাবেশে তিনি এ কথা বল
তিনি বলেন, “একাত্তর আমাদের জাতির সবচেয়ে গৌরবময় অধ্যায়। এটি কখনো মুছে ফেলা যাবে না। তবে একাত্তরের পরাজিত শক্তি যদি চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের নামে একাত্তরের পরাজয়ের গ্লানি ঢাকতে চায়, তবে তা জাতীয় ঐক্যের ভিতকে দুর্বল করবে। একাত্তর এবং চব্বিশ উভয়কেই ধারণ করতে হবে, তবেই জাতীয় ঐক্য অর্থবহ হবে।”
গণতন্ত্রের শক্তিগুলোর মধ্যে ঐক্যের অভাবের জন্য ফ্যাসিবাদ দীর্ঘায়িত হয়েছে উল্লেখ করে নাছির বলেন, “সিভিল সোসাইটি, পেশাজীবী এবং বুদ্ধিজীবীদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে একাত্ম না হওয়ার কারণে আওয়ামী লীগ ভুয়া, অবৈধ নির্বাচন করতে পেরেছে। তবে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষিতে আমরা ঐক্যবদ্ধ লড়াই চালিয়ে যাব।”
ছাত্র প্রতিনিধিত্ব নিয়ে সরকারের একতরফা সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রতিনিধিত্বকারী প্ল্যাটফর্মকে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে যুক্ত করা হলেও, বৃহত্তর ছাত্রসমাজের প্রতিনিধিত্বকারী অন্যান্য সংগঠনকে উপেক্ষা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলসহ অন্যান্য সংগঠনের মতামত নেওয়া হয়নি। এই একতরফা সিদ্ধান্ত ঐক্য প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করছে।”
শহীদদের ত্যাগের বিষয়টি উল্লেখ করে নাছির আরও বলেন, “শহীদদের রক্তের কথা বলে নিত্যনতুন তত্ত্ব প্রচলিত হচ্ছে। অথচ শহীদের ত্যাগ কোনো নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর মালিকানা নয়। তাদের মূল দাবি ছিল গণতন্ত্র এবং ভোটের অধিকার। আন্দোলনের চার ভাগের একভাগ শহীদ বিএনপি ও ছাত্রদলের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহির উদ্দিন স্বপন। প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রিয়াদ রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম এবং জুয়েল হোসেন।